ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবার ঘোষণা দিয়েছেন যে, লোকসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করা হবে। এর আগে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছিলেন, ৭ দিনের মধ্যে সিএএ কার্যকর হবে বাংলা তথা গোটা দেশে। তবে সেই ৭ দিন পার হয়েছে অনেক আগেই।অবশ্য এর মাঝে শান্তনু দাবি করেছিলেন, ভুল করে ৭ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন তিনি। তবে দাবি করেছিলেন, শিগগিরই সিএএ কার্যকর করা হবে। এবার কার্যত তার কথাতেই যেন শিলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দুসহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। তবে এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়নি এতদিনে।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিএএ সংক্রান্ত নিয়ম তৈরি হয়ে গেছে। এই আবহে লোকসভা ভোটের আগেই তা কার্যকর করা হবে। অমিত শাহের কথাতেও শোনা গেল সেই সুর।
এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এর জন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়া অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের শুধু জানাতে হবে যে, কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে কোনো নথি চওয়া হবে না। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বিগত ৪ বছর ধরে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করেছে। কোভিড মহামারির আগে ভারতজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আবহে আইনটি কার্যকর হলেও তা প্রয়োগ করা হয়নি। অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কোভিড চলে গেলেই সিএএ-র নিয়ম তৈরি করে তা প্রয়োগ করা হবে।
তবে ভারত সরকারের এই বিতর্কিত আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা। তাদের মতে, এটি কার্যকর হলে ভারতে অনেক মুসলমান রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে।