শুক্রবার দুপুর। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ফোন এসেছিল অন্তত ৮ জন এমপির কাছে। বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান।ডাক পাওয়ার তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগান, বিজেডি রাজ্যসভার এমপি সস্মিত বাত্রা, সিনিয়র সাংসদ এনকে প্রেমাচন্দ্রন, টিডিপি এমপি রাম মোহন নাইডু, বিএসপি এমপি ঋতেশ পান্ডে, বিজেপির লাদাখের এমপি জামিয়াং শেরিং এন, বিজেপির নাগাল্যান্ডের এমপি এস পি কোনায়ক।
এদিকে ফোন পেয়ে তো হতবাক এমপিরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে চলে যান। সেখানে মোদি তাদের বলেন, আপনাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ডেকে এনেছি। এরপর তিনি ক্যান্টিনের দিকে হাঁটা দেন।
এরপর তাদের নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। খাওয়ার মাঝেই তাদের সঙ্গে কথাবার্তা হয় তার। রাজনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসে নানা প্রসঙ্গও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, খাবারের টেবিলে এক এমপি মোদিকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার পছন্দের খাবার কোনটা? মোদি বলেন, খিচুড়ি।
আরেক সংসদ সদস্য প্রশ্ন করেন, এত কাজের চাপ সামলান কীভাবে? মোদি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কাজ করি।
অন্যদিকে এক এমপি নাকি প্রশ্ন করেছিলেন, ২০১৫ সালে পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের মেয়ের বিয়েতে আপনি গিয়েছিলেন, তা নিয়ে কিছু বলুন।
মোদি জানিয়েছেন, সেদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত সংসদে ছিলাম। এরপর আফগানিস্তানে পূর্ব নির্ধারিত কাজে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানে থামার চেষ্টা করি। কিন্তু এসপিজি (স্পেশাল প্রক্টেশন গ্রুপ) সেটা চায়নি। এরপর নওয়াজ শরিফকে ফোন করি। বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি কি না। এরপর দু’ দেশের মধ্য়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিষয় নিশ্চিত করা হয়। তারপরই ভারতের বিমান নেমেছিল পাকিস্তানে।