সারা দেশে লাইসেন্সধারী বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও ব্লাড ব্যাংকের সংখ্যা ১৫ হাজার ২৩৩টি। আর লাইসেন্সবিহীন রয়েছে এক হাজার ২৭টি। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় করা রিটে হাইকোর্টে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ ফেব্র“য়ারি দিন রেখেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে, তার তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ আদেশ অনুসারে ২৯ জানুয়ারি অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ডা. পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
রোববার আদালতকে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল রয়েছে, তার তালিকা এসেছে। রিট আবেদনকারী আইনজীবী হলফনামা আকারে বক্তব্য দাখিলে মুলতবি চান। এরপর আদালত ১৮ ফেব্র“য়ারি শুনানির দিন রাখেন।
আইসিইউর চরম সংকট : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথা বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, দেশে দশ হাজার মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালে শয্যা আছে ৩টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় থাকার কথা ৩৫টি। সেই সঙ্গে রয়েছে জনবলের ঘাটতি। দেশে সাধারণ চিকিৎসার চেয়েও বেহাল দশা আইসিইউর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র আইসিউর তথ্য রাখে। কেন্দ্রে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ১ হাজার ১৮৫টি আইসিইউ ও ৬৯৫টি এইচডিইউ শয্যা রয়েছে। এসব আইসিইউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য। এর বাইরে কিছু আইসিইউ ও এইচডিইউ অন্যান্য রোগীর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।