আজ শনিবার দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে দেশের সর্বত্র।দেশে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লড়াই চলছে সর্বত্র।তাই এবার অন্য রকম হবে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন।২৫ জন করোনা যোদ্ধাকে আজ রেড রোডের অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানাবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক বার্তায় তিনি জানান, আমাদের দেশ অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে চলে এসেছে। এবার করোনাও পরাজয় হবে আমরা জিতবো তাই এমন উদ্যগ।
রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রতি বছরই আলাদা উন্মাদনা থাকে। বিশেষত বর্তমান সরকারের আমলে এই অনুষ্ঠান আলাদা মাত্রা পেয়েছে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারনে চমকানো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সীমিত সংখ্যক অতিথি আসবেন।দর্শকদের জন্য গ্যালারি করা হয়নি। ৯টা ৫০ মিনিটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন ।২০ মিনিট অনুষ্ঠান হবে। প্রথম সারিতে থাকবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, আশাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক, বিডিও, সাফাইকর্মী, পুলিসকর্মী, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ারকে সংবর্ধনা জানানো হবে। সেইসঙ্গে ২০ জন আধিকারিক ও কর্মীকে ‘কোভিড ওয়ারিয়র মেডেল’ প্রদান করবে দমকল বিভাগ।
কুচকাওয়াজে পুলিশের পক্ষ থেকে থাকছে তিনটি প্যারেড। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, পুলিস এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের চারটি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে। পরিবেশিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান ও কবিতা। থাকবেন বাউল দল ও বিশিষ্ট শিল্পীরা। রেড রোডে তিনটি মঞ্চ করা হয়েছে। বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন।সব মিলিয়ে আমন্ত্রিতের সংখ্যা শ’খানেক তাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক, বিধানসভার স্পিকার, লোকায়ুক্ত, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রশাসনিক কর্তা।
স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাত দশটা থেকে রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। রেড রোডে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ড্রোন ও স্নিফার ডগ দিয়ে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
প্রতি বছরের মতো এবারও ‘মধ্যরাতে স্বাধীনতা’ কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সংবিধান রক্ষার্থে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন রাজভবনে ছোট আকারে একটি চা-চক্রের আয়োজন করেছেন রাজ্যপাল।