করোনার সঙ্গে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হল হাতিয়ার মাস্ক।বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও যথেষ্ট রয়েছে। তাই আপাতত রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক যেকোনও সমাবেশের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশে হাজার হাজার জন প্রান হারাছে তাও এই পরিস্থিতিতেও করোনা বিধি মানতে পারছে না কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা করোনা পরিস্থিতিতে কয়েক হাজার মানুষকে জড়ো করে জনসভা করলেন তিনি। এমনকী অনেকের মাঝে বসে থাকলেও মঞ্চে মাস্ক ছাড়াই বসেছিলেন বিধায়ক।
সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির উপর হামলা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। গত ১০ আগস্ট তার প্রতিবাদে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বাসন্তী রাজ্য সড়ক অবরোধও করেন সিদ্দিকির অনুগামীর।তারই পালটা মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। সেই সভামঞ্চ থেকে আব্বাস সিদ্দিকির উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, “কেউ আব্বাস সিদ্দিকি সাহেবকেআক্রমণ করেনি। কেউ তাঁর গাড়িতে বা গায়ে হাত দেয়নি। পুরোটাই মিথ্যা প্রচার চলছে। ধর্মের নামে অশান্তি তৈরির চেষ্টা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
এদিনের জনসভায় কমপক্ষে কয়েক হাজার মানুষ এসেছিলেন। বিধায়ককে অনেকের মাঝে মঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে তাঁর মুখে ছিল না মাস্কের। সভা প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা অনেকের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি।