সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি-র সন্দেহ, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল রিয়ার। সেই সূত্র ধরে রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খুঁজতে গিয়ে দেখে অবাক। গত বছরের ২৫ নভেম্বর রিয়ার বন্ধু জয়া শাহ হোয়াটসঅ্যাপে রিয়াকে লেখেন, “চার ফোঁটা জলে বা চায়ে মিশিয়ে ওকে প্রান করাও… দেখবে ৩০-৪০ মিনিট পরে মাতাল হবে ।” রিয়া উত্তরে লেখেন, “ধন্যবাদ।” জয়ার উত্তর আসে, “কোনও অসুবিধে নেই। আশা করি এটা কাজ দেবে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জয়া এবং রিয়া ১০০ বার ফোনে নিজেদের মধ্যে কথা হয়েছে। যার মধ্যে ২৯টি কল জয়া করেছিলেন এবং বাদবাদি কলগুলি রিয়া করেছিলেন।এমনকি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে রিয়ার প্রথম কলটি জয়া করেন। সুশান্তের মৃত্যুর খবর দুপুর ২.২৭ মিনিটে আসে এবং ২.৩৩ মিনিটে রিয়া ও জয়ার মধ্যে কথা হয়।
ইতিমধ্যেই জয়া শাহকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ইডি।
এখান থেকে রিয়ার জন্য তৈরি হল একটি নতুন প্রশ্ন। রিয়াই কি চাইত সুশান্ত ড্রাগের নেশা করুক?যদি চায় তাহালে কেন?
একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন জয়া শাহ। ফলে অনেক স্টারের সঙ্গে তার জানা শোনা । সেই সুত্রে জয়া ও রিয়ার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছে, রিয়াকে মাদক সরবরাহ করতেন জয়া শাহ। এখন মাদকের মামলাটি সামনে আসার পর নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্ট সিবিআইয়ের সঙ্গে তদন্ত করবে। এখনও পর্যন্ত রিয়ার বিরুদ্ধে শুধু টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল। এ বার মাদকের ব্যাপারেও নাম জুড়ল রিয়ার।