হিরোশিমা-নাগাসাকির সেই ঐতিহাসিক ভয়াবয়তার কথা কেউ ভুলতে পারেনি! ১৯৪৫ সালের ৬ এবং ৯ অগাস্ট মার্কিন বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরের ওপর লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান নামের দুটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়! হিরোশিমাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৪০,০০০ মানুষের, নাগাসাকিতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭৪,০০০ মানুষের। এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন।আজও সেখানের পরিস্থিতি মর্মান্তিক।
আমেরিকার হিরোশিমা-নাগাসাকির থেকে ৩,৩৩৩ গুণ বেশি মারাত্মক পরমাণু বোমা মজুত রয়েছে রাশিয়ার কাছে।এই বিধ্বংসী হাইড্রোজেন বোমা রাশিয়ার কাছে এতদিন গোপনেই ছিল এবার প্রকাশে এল। সম্প্রতি রাশিয়ার স্টেট অ্যাটোমিক এনার্জি কর্পোরেশন ‘রস অ্যাটম’ প্রকাশ্যে আনেন একটি ৪০ মিনিটের ভিডিও!ভিডিওটি দেখে আপনি চমকে যাবেন।
বিশ্বের শক্তিশালী দেশ রাশিয়া এটা সবাই জানতো কিন্তু এতটা শক্তিশালী কেউ জানতো না।কারন সে এখন বিশাল হাইড্রোজেন বোমার মালিক রাশিয়া! নিমেষে একটা সভ্যতাকে গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সেই বোমা! ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর ‘জার বোম্বা’ নামে সেই হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা করেছিল রাশিয়া।
পোক্যাটমের ইউটিউব চ্যানেলে ২১ আগস্ট ৫৯ বছরের পুরোনো সেই ভিডিওটি প্রকাশ করে রাশিয়া। ৫০ মেগাটনের এই হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল উত্তর মহাসাগরের নোভায়া জেমলায়াত নামে একটা ছোট্ট দ্বীপে এই দ্বীপটি অবশ্য রাশিয়ার দখলে ।প্রথমে পরীক্ষাগার থেকে বোমাটি ট্রেনে করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর বিমানে তোলা হয়,যেই বিমেনে তোলা হয়েছিল বিমানটির নাম ছিল টিইউ-৯৫’।বোমাটির লম্বা ছিল ২৬ ফুট এব ওজন ছিল ২৭ টন। সেই বোমাটি বিমান থেকে প্যারাসুটে করে নীচে নামিয়ে নিক্ষেপ করা হয়। তবে বোমাটি মাটি স্পর্শ করার আগেই বিস্ফোরণ ঘটে। মাটি থেকে প্রায় চার হাজার মিটার উপরে ফেটেছিল।