ওড়িশা হাইকোর্ট বলেন পুরীতে যদি রথযাত্রা করতে হয় তবে এটি মেশিন বা হাতি বা অন্য কোনও উপায়ে রথকে টানতে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ রফিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ মহান্তীর সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ দু’টি জনস্বার্থ-আবেদনের উপরে রায় দিতে গিয়ে শনিবার এ মন্তব্য করেন। রথ 23 জুন। উল্টোরথ ১ জুলাই। কারফিউ চাপানো সতেও, সর্বশেষ স্নানের শোভাযাত্রা জুড়ে ভিড় থামানো গেল না।
আবেদনকারীরা চেয়েছিলেন, রথযাত্রায় করোনা সংক্রমণ রোখার কেন্দ্রীয় বিধি মানার জন্য রাজ্যকে লিখিত নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু আদালত লিখিত আদেশ না-দিয়ে পর্যবেক্ষণ বা পরামর্শ জানিয়েছে।
পুরীতে এই মুহূর্তে রথটি কী হবে? হাতি কি রথের দড়িতে টানবে? নাকি জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার তিনটি ভারী কাঠের রথ টানবে যন্ত্রযানের সাহায্যে ? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে এ দিন জানিয়েছিলেন যে দূরত্বের নীতিগুলি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষ সচেতন থাকা দরকার । করোনা-বিধি মেনে রথযাত্রা কী ভাবে করা সম্ভব, এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবীন পট্টনায়কের সরকার।