“রাজ্যের সমস্ত ছোট-বড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে দর্শকদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।করোনার পরিস্থিতিতে আদৌ পুজো করার অনুমতি দেওয়া সঙ্গত কি না তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।সোমবার হাইকোর্ট রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলকে ‘NO ENTRY ZONE’ হিসাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে।সমস্ত প্যান্ডেল অঞ্চলে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা থাকবে।পুজোর প্রয়োজনে যাদের ঢুকতে হবে, মণ্ডপের বাইরে তাঁদের নামের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। ১৫ থেকে২৫ জনেরও বেশি লোক একসাথে মণ্ডপে থাকবে না । ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসনের প্রয়োজন সচেতনতা প্রচার চালাতে হবে। এই দূরত্ববিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ এবং পুজোর উদ্যোক্তাদের।
আদালতের নির্দেশ কী ভাবে এবং কতটা মানা হল তা রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এই নিয়মটি রাজ্যের ৩৪,০০০ পুজো কমিটিগুলিতে প্রযোজ্য যারা সরকারি অনুদান নিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে সেই নির্দেশ পালন করবে। কিন্তু পুলিশের সংখ্যা কি পর্যাপ্ত?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কলকাতা শহরে ৩ হাজার পুজো রয়েছে। পুলিশ রয়েছে ৩০ হাজার বড় জোর ৩২ হাজার। সেই সংখ্যার পুলিশ দিয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে, তদন্তের কাজ সেরে আদৌ পুজো সামলানো কতটা সম্ভব?
তাই সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত পুজো প্যান্ডেলকে ‘NO ENTRY ZONE’ হিসাবে ঘোষণা করেন । ক্লাবগুলি চাইলে ভার্চুয়ালি পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করতে পারে।