কৃষিবিলের প্রতিবাদে বনধের প্রভাব বিক্ষিপ্ত অশান্তি জেলায় জেলায়। সকাল থেকেই শহরের রাস্তাঘাটে ব্যস্ততা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সরকারি গাড়ি দেখা মিলছে শহরের রাস্তায়।তৃণমূল সরাসরি বন্ধকে সমর্থন করেনি তবে কৃষকদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বন্ধে সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন বাম-কংগ্রেস।
প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় কৃষকরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সমর্থনে বাংলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কোথায় কোথায় অবরোধ চলছে তা দেখে নিন-
সকাল ৯টা বেজে ৭ মিনিটে যাদবপুরে অবরোধ চলছিল তা এখন স্বাভাবিক। অশোকনগরের বনগাঁ সেকশনে নতুন করে অবরোধ শুরু হয়। আলিপুরদুয়ারে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে।সেখানে সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ । সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস চলাচল একেবারেই বন্ধ। চা বাগানগুলি খোলা থাকলেও, কর্মীর সংখ্যা একে বারেই কম।
হুগলির রিষড়া স্টেশনে রেল অবরোধ চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম কর্মী-সমর্থকদের। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে রেল অবরোধ বাম কর্মীদের। আটকে রয়েছে আপ ও ডাউন ট্রেন। অবরোধের কারনে শিয়ালদা-বনগাঁ ও শিয়ালদা-হাসনাবাদ ট্রেন চলাচল ব্যাহত। মধ্যমগ্রামের দোলতলা মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। মিনিট দশেক প্রতীকী বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়েও শুরু হয় অবরোধ।
দাসনগরে শানপুর মোড় অবরোধ আন্দোলনকারীদেক।আটকে দেওয়া হল বাস। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডোমজুর স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ আন্দোলনকারীদের। কাঁধে লাঙল নিয়ে অবরোধ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আমতা- হাওড়া শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল। আটকে রয়েছে ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল। শিয়ালদহ শাখার ডায়মন্ড হারবারে রেল অবরোধ। হোটর এবং বারুইপুরের মধ্যে রেললাইনে কলাপাতা বিছিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বাঁকুড়া গোবিন্দ নগর বাস স্ট্যান্ডে পরিবহণ শ্রমিকরা কৃষকের পাশে রয়েছে তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।