প্রথম দফায় ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকে নজর ছিল। ‘স্বনির্ভর ভারত’ গড়ে তুলার মিশনের দ্বিতীয় দফায়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পরিযায়ী কর্মচারী, দরিদ্র, কৃষক, ফুটপাত ব্যবসায়ী এবং হকারদের জন্য একটি পুনর্জীবন প্যাকেজ কথা ঘোষণা করলেন। নির্মলা সীতারামনে বলেছিলেন যে, অভিবাসী কর্মীদের জন্য রেশন কার্ড না থাকলেও ফেডারেল সরকার 2 মাসের জন্য বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করবে। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন ফুটপাতের দোকানদার ও হকারদের জন্য ১০,০০০ টাকার ঋন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কৃষকদের জন্যও অতিরিক্ত প্যাকেজ রয়েছে।
নির্মলা সীতারামন বৃহস্পতিবার প্রথমে একটি সংবাদ সম্মেলনে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে তিনি এই মুহূর্তে 9 টি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। এই প্যাকেজ বা ব্যবস্থাগুলির মধ্যে তিনটি হ’ল পরিযায়ী কর্মীদের জন্য। বিপিএল তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের দরিদ্র কল্যাণ প্রকল্পের মধ্যে ছয় মাসের জন্য বিনামূল্যে খাবারের সরবরাহ করার জন্য ইতিমধ্যে সংকল্পবদ্ধ হয়েছে। মিশনটি মাথাপিছু ৫ কেজি চাল বা গম এবং এক কেজি ডাল দিচ্ছে। একই দিনে নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করে ছিলেন “যাদের কাছে রেশন কার্ড নেই অর্থাৎ অভিবাসী কর্মীরা নিম্নলিখিত দুই মাসের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পাবেন।‘ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ড’ নামে এই প্রকল্পে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে রেশন তুলতে পারবেন উপভোক্তারা।এই কাজ আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাড়ীর ভাড়া অর্থের জন্য নিযুক্ত হওয়া কর্মচারীদের জন্য অনেক বড় সমস্যা। এটি মোকাবেলায় জন্য ফেডারেল সরকার প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্পের মতো একটি মিশনে বাড়ি তৈরি করবে। স্টাফরা খুব কম টাকা দিয়ে যেন ওই বাড়িতে গুলোতে থাকতে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে এই সমস্ত বাড়িগুলি সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তৈরি করা যেতে পারে। বাইরে রাজ্যের কর্মচারীরাও এই বাড়িগুলিতে থাকার সুবিধা পেতে পারেন।
নির্মলা সীতারমণ হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণদানের প্রকল্প চালু করেছে। এই মিশনে ১০০০০ টাকা ঋন নিতে সক্ষম হবে স্ট্রিট ভেন্ডর। “সারা দেশে প্রায় ৫০ লক্ষ এরকম মানুষ রয়েছে।মিশনের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
নাবার্ড থেকে কৃষিতে বার্ষিক ৯০০০০ কোটি টাকা প্রদান করে থাকেন। সেই টাকা কৃষি সমবায় ও বিভিন্ন গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়ে থাকে। এবার কেন্দ্র আরও ৩০০০০ কোটি টাকা দেবে নাবার্ডকে । এটি দেশের আড়াই কোটি কৃষককে লাভ করতে পারে। নির্মলা সিথারমন জানিয়েছেন, মাছ চাষি এবং পশুপালনকারীদেরও কিসান ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন।