বিশ্ব সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডের পর দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিনেও সবুজসঙ্কেত। জরুরি ভিত্তিতে শর্তসাপেক্ষে দু’টি করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে এই টিকাগুলো ১১০ শতাংশ নিরাপদ সবুজসঙ্কেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ডা. ভিজি সোমানি। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দুই করোনা টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
জরুরি ভিত্তিতে’ অনুমোদনের বিষয়টি সামনে আসতেই এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ডা. ভিজি সোমানি (VG Somani) বলেন,ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ এই বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন। আমরা ভ্যাকসিনের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলেও আমরা তাকে কখনওই অনুমোদন দিই না। তবে, যে কোনও ভ্যাকসিন নিলেই সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েই থাকে সেটাই যেমন ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জি। এর বাইরে সবটাই গুজব। ”সোমানি বলেন করোনার টিকায় পুরুষত্বহীনতা এটা সম্পূর্ণ গুজব ছড়িয়েছে।
তবে দেশে কোভিশিল্ডের তৃতীয় দফার ট্রায়াল থেকে কার্যকারিতার হার সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট এক্ষণও প্রকাশিত হয়নি।সেটি কত শতাংশ কার্যকর করবে সে সব তথ্য ছাড়াই চূড়ান্ত অনুমোদনের কথা ঘোষণা করেছে ডিসিজিআই।তিনি জানিয়েছেন কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা ৭০ .৪২ শতাংশ । আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গবও বলেছেন, “আমরা জানি যে ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে। এমনকী স্পাইক প্রোটিনের ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে। ফাইজার ইতিমধ্যেই নিজেদের ভ্যাকসিনকে মডিফাই করবে এবং তার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু, কোভ্যাক্সিন যেহেতু পুরো ভাইরাসটিকেই মেরে ফেলে তাই এটি মিউট্যান্ট স্ট্রেনের উপর কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।”