সংসদে কৃষি বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই এই বিল নিয়ে কৃষকরা প্রথম থেকেই দেশজুড়ে বিরোধ চালিয়ে এসছিল।এবার বিরোধ ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এই বিলের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে শুক্রবার অর্থাৎ আজ সারা ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরা এই বনধে অংশ নেবেন।কৃষি বিলের প্রতিবাদে নেমে দেশের একাধিক জায়গায় আজ ভারত বনধ সম্পন্ন হচ্ছে।কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থন আছে এই বনেধ। ৩১ টি কৃষক সংগঠন হাত মিলিয়েছে এই বনধ করার জন্য। বাংলা থেকে পাঞ্জাব,হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক সব জায়গায় ‘চাক্কা জ্যাম’ পরিস্থিতি চলছে।
এই বিলের প্রতিবাদে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্জাবে চলছে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন।আজ আবার সকাল ১১ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত চলবে এই রেল রোকো’ আন্দোলন।এই প্রতিবাদে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ হলেও কাউকে গ্রেফতার না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ।
বামপন্থী সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা আজ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধে করবে। বিভিন্ন হাইওয়েতে এমন পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর সমিতিও এই বনধে সামিল হচ্ছে।
এদিন বনধের জেরে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে রাস্তা বন্ধ থাকবে বলে খবর। এলাকা জুড়ে রাস্তা সিল থাকবে বলে খবর।
এদিনের বনধের জেরে গোল্ডেন টেম্পল মেল, জন শতাব্দী (হরিদ্বার থেকে অমৃতসর), নয়া দিল্লি জম্মু তাওয়াই, সচখন্ড এক্সপ্রেস, অমৃতসর জয়নগর শহিদ এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও কর্ণাটক , তামিলনাড়ুতে লরি ও ক্যাব চালকরা এদিন বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামছেন বলে খবর। কেরলে ২৫০টি সরকারি অফিসের সামনে এদিন প্রতিবাদ চলবে বলে খবর। মহারাষ্ট্রেও এদিন ২১ টি জেলায় ৩০০০ কৃষক প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছেন বলে খবর।