সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের দাপটেও বেঁছে আছে।মানবজাতির লাইফ স্টাইল এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। সবাই এখন ঘরে বন্দি রয়েছে।জীবন থমকে দাঁড়িয়ে রয়েছে।কিন্তু এত খারাপের মধ্যও বেশ কিছু ভাল দিক সামনে আসছে সেটা হল পৃথিবী।মানুষজন ঘরে থাকার কারণে পৃথিবী তার ঘা শুকচ্ছে।ভারতের বেশ কিছু শহরে দূষণের মাত্রা বেশ কমে গেছে।নদীর জল পরিষ্কার হচ্ছে এতোটাই পরিষ্কার হছে প্রাণের উপোযোগী হোয়ে উঠছে।এর মাঝে সব থেকে ভাল খবর ওজন স্তরের ক্ষয় ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।এই সার্থপর দুনিয়া শুধু করোনার নেগেটিভ দিক গুলো তুলে ধরছে পজেটিভ দিক গুলো কেউ তুলে দরছে না। এই পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য নয়, আরও অন্য প্রজাতির বাস।কিন্তু আমরা মানুষেরা সেই সব কিছু ভুলে নিজেদের ইচ্ছা মতো যা নয় তাই করি।একটি বার ও প্রকিতির ক্তহা চিন্তা করিনা।আমরা ভুলেই যাই যে প্রকিতি আমাদের থেকে বেশি শক্তিশালী ।আমরা মানুষেরা প্রকিতির কাছে হাতের পুতুল ছাড়া কিছুই নয়।কিন্তু প্রকিতি আমাদের মতো এতো নিষ্ঠুর না। সে সময় হলে যেমন অনেক কিছু ছিনেয়ে নেয় তেমন সময় হলে অনেক কিছু ফিরিয়ে দেয়।
যদি লকডাউনে কিছু ভালো হয়ে থাকে সেটা হল পৃথিবীর দিনে দিনে সুন্দর হয়ে যাওয়ার ছবি।এই সময়ের সব থেকে ভাল খবর হল ওজন স্তরের ছিদ্র ছটো হয়ে যাওয়া।বিজ্ঞানীরা বলছে আন্টারটিকায় ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটার যে ছিদ্র ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে।সবার কাছে একটা অবাক করার বিষয় কারন ছটো বেলা থেকে সবাই শুনে আসছে ওজন স্তরের ক্ষয় খতি নিয়ে। এই প্রথম এতো শুখবর শুনতে পেলাম পৃথিবীর এই কঠিন সমস্যার এভাবে সমাধান সত্যি খুব আনন্দের ব্যাপার।ওজন স্তরের এই ছেদ এই বছরের শুরুতে বিজ্ঞানীরা দেকতে পেয়েছিলো।এই ছিদ্রের কারনে নর্থ পোলে কম তাপ মাত্রা কে ধরে নিয়েছিলো।এই ছিদ্র যদি ধীরে ধিরে বাড়তে থাকতো তাহলে মানবসভতার বিশাল ভয়াভয়ে পড়তে পারতো। এই ছিদ্র বন্ধ হয়ার কারন হিসেবে লক ডাউনের মাহাতকে তুলে ধরা হয়েছে।
পরিষ্কার হচ্ছে নদীর জল। লক ডাউনের কারনে সব কল কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।নদিতে এখন দূষীত পদার্থ পড়ছে না।মানুষ ঘরে বন্ধ হয়ে পড়েরয়েছে।এই সুযোগে পশু পাখি ও জলচর প্রাণী আনন্দ নিচ্ছে।গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার নদীগুলোতে কালে কালে দেকতে পাওয়া যেত ডলফিন বা গাঙ্গীয় ডলফিন ।কলকাতার ঘাটে দেকতে পাওয়া গেছে ডলফিন।ডলফিন কেবল শুদ্ধ জলে দেকতে পাওয়া যায়।কিন্তু বিগত কিছু বছর নদীগুলোতে যে হারে দূষণ হয়েছিল তাতে এই দলফিন দেকতে পাওয়া দুষ্কর হয়ে গিয়েছিল।এখম খুব ভাল খবর যে ডলফিন গঙ্গার ঘাটে ডেকতে পাওয়া যাচ্ছে।আজ থেকে ৩০ বছর আগে এই দৃশ্য দেখা যেত।কিন্তু জল দূষণের কারণে তাদের আর দেখা যেত না।গঙ্গা, যুমুনা, নরমাদা নদীর জল এখন কাচের মতো পরিষ্কার।জলে দ্রবীভূত কঠিনের মাত্রা ৫০০ শতাংশ কমে গেছে।বহু বছর পর গঙ্গার জল প্রানের যোগ্য হয়ে উঠেছে।নর্মদা নদীর জল এতটা পরিষ্কার ১০ ফুট গভিরতা পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
পরিষ্কার হচ্ছে দেশের আকাশ।নাসার একটি স্যাটেলাইটে ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার উত্তর আকাশে সব থেকে কম আর্যেসল পাওয়া গেছে।আসলে আর্যেসল এতটা ছোট সলি্ডল লিকূড পার্টিকলস যে হৃদপিণ্ড ও ফুস্ফুসকে প্রভাবিত করে।মানুষের দ্বারা তৈরি এই এরোসল দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।জ্বালামুখ দাবানল লু এই সব প্রাকিতিক কারনেও এরোসল তৈরি হয়।কিন্তু লকডাউনের কারনে এরোসল মাত্রা কমে গেছে।বিগত ৭৫ বছরে এই দূষণমুক্ত পৃথিবী।বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী প্রতেক বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ দূষণে শিকার হয়ে মারা যায়।এখন আমাদের চোখ দূষণমুক্ত সুন্দর পৃথিবীর দৃশ্য অনুভূতি করতে পারবে সুন্দর আকাশ সুন্দর বাতাস।লক ডাউনের কারনে দূষণের মাত্রা ৪০% থেকে ৫০% কমে গেছে। করোনা ভাইরাস ধ্বংস হওয়ার পর আমরা দূষণমুক্ত সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচার আনন্দ উপভোগ করবো।